শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

বাহুবলে টিকাদান কেন্দ্রে ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: বাহুবলে করোনা ভাইরাসের গণটিকাদান কর্মসূচিতে উপচেপড়া মানুষের ভিড় সামাল দিতে গিয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার স্নানঘাট ইউপি কমপ্লেক্সে। ঘটনার পরপরই কেন্দ্রে হাজির হন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার, বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল খয়ের, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বাবুল কুমার দাশ ও বাহুবল মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সারাদেশের ন্যায় বাহুবল উপজেলার ১নং স্নানঘাট ইউপি কমপ্লেক্সে ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের ৬শ লোককে করোনা ভাইরাসের গণটিকাদান শুরু হয় শনিবার সকাল ৯টায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে টিকা গ্রহণে আগ্রহীদের লাইন লম্বা হতে থাকে। অনেক লম্বা লাইনে বয়ষ্ক ও অসুস্থ লোকজন কষ্ট করে দাঁড়িয়ে আছেন দেখে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার চেষ্টা চালান ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম। এতে প্রতিবাদী হয়ে উঠেন ইউনিয়নের বাগদাইর গ্রামের বাসিন্দা মৌলদ হোসেনের পুত্র আব্দুল খালেক (৪০)। এক পর্যায়ে উভয়ের মাঝে বাকবিতন্ডার ঘটনা শুরু হয়। বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে আব্দুল খালেক ও তার সহযোগীরা ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম-কে লাঞ্ছিত করে। এতে টিকাদান কেন্দ্রে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে কিছু সময় টিকাদান ব্যাহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সাংবাদিক ইয়াকুত আলী জানান, সকাল থেকেই স্নানঘাট ইউপি কার্যালয়ে টিকাগ্রহিতা নারী-পুরুষের লম্বা লাইন তৈরি হয়। লাইন থেকে বয়ষ্ক ও অসুস্থ লোকজনকে নিয়ে আগে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌল আলম। এতে আব্দুল খালেক নামে এক ব্যক্তি বাঁধা দেয় ও চেয়ারম্যানকে শারীরিক ভাবে আক্রমন করে।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম বলেন, লম্বা লাইন থেকে অসুস্থ ও বৃদ্ধ লোকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এতে বাঁধা দেয় বাগদাইর গ্রামের মৌলদ হোসেনের পুত্র আব্দুল খালেক। এক পর্যায়ে সে আমার সাথে সে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এতে হট্টগোল সৃষ্টি হলে টিকাদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

অভিযুক্ত আব্দুল আব্দুল খালেক-এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম লাইন থেকে নিজের লোকজনকে নিয়ে আগে আগে টিকাদানের ব্যবস্থা করছেন দেখে আমি প্রতিবাদ করি। এক পর্যায়ে লাইনের অন্যান্য লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার বলেন, টিকাদান কার্যক্রমে সহায়তা করতে গিয়ে স্নানঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম স্থানীয় জনৈক ব্যক্তির দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার পরপরই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বিষয়টি আপোষ নিষ্পত্তির দায়িত্ব নেন। তারপরও এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশের ন্যায় উপজেলার ৭ ইউনিয়নে গণটিকাদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি ইউনিয়নে উপচেপড়া মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ভিড় সামাল দিতে গ্রামপুলিশ ও আনসার সদস্যদের হিমশীত খেতে হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com